হেমন্তে নবান্ন উৎসবে মেতেছেন বগুড়ার শিবগঞ্জের মানুষ। বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য নবান্ন উৎসব উপলক্ষে প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে উপজেলার উথুলী বাজারে বসে মেলা। স্থানীয়দের দাবি প্রায় ৪ শ বছরের পুরোনো এই মেলা। আজ রোববার ভোর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখর হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গন। এ মেলায় নতুন সবজি, মিষ্টির
প্রতিবছর হেমন্তের এই সময়ে আমন ধান ওঠার পর কৃষকদের ঘরে ঘরে চলত নবান্ন উৎসব। চারদিকে খেত থেকে পাকা ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করতেন কৃষকেরা। নতুন ধানে পিঠাপুলির আয়োজনে তাঁরা আনন্দমুখর থাকতেন
গ্রামবাংলার চিরায়ত উৎসব নবান্নকে ঘিরে এখন গ্রামীণ জনপদে চলছে সাজ সাজ রব। নতুন ধান তুলতে হবে ঘরে। আর সেই ধানের চাল দিয়ে তৈরি ক্ষীর-পায়েস প্রিয়জনদের মুখে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে কৃষক খুঁজে পায় বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে ফসল আবাদের সার্থকতা।
নিম্নচাপের কারণে ঢাকার আকাশ সারা দিনই ছিল রোদহীন। তাতে এতটুকুও ছেদ পড়েনি নবান্ন উৎসবের। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলা সেজে ওঠে উৎসবের রঙিন সাজে। যন্ত্রসংগীতের মূর্ছনায় আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তারপরই মঞ্চে ওঠে এক ঝাঁক শিশু। ওরা সমবেত কণ্ঠে গাইল—‘আবার জমবে মেলা বটতলা হাটখোলা অঘ
নবান্নের ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছরের মতো এবারও জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বেগুনগ্রামের আস্তানায়ে চিশতিয়ায় ১৩০ মণ গুড়, ৯০ মণ চাল, এক হাজার ৯০০টি নারকেল, আর ৮০ মণ দুধ দিয়ে ক্ষীর তৈরি ও বিতরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার একসঙ্গে ৩০টি চুলায় সকালে ৩০ মণ চালের, দুপুরে ৩০ মণ চালের এবং সন্ধ্যায় ৩০ মণ চালের ক্ষীর
শীতের আগমনে শুরু হয়েছে খেতের আমন ধান কাটা। আর ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা। নতুন চালের তৈরি শীতের পিঠাপুলির উৎসবে মেতেছে তারা। সেই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অ
শরৎ শেষে এল হেমন্ত। হেমন্তের ‘প্রাণ’ নবান্নের আনন্দে আমন ধান কাটার ধুম লেগেছে ঠাকুরগাঁওয়ে। সোনালি ধান এখন ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকেরা। ইতিমধ্যে বাড়ির উঠোন ভরে উঠছে নতুন ধানে। চারদিকে ধানের ম-ম গন্ধ। এমন আনন্দ আর উৎসবে ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে পিঠা-পুলির নানা আয়োজন।
হেমন্তের বিকেলের মিষ্টি রোদ পড়েছে খেতভরা সোনালি ধানে। এক, দুই, তিন-বলার সঙ্গে সঙ্গেই কিষানিদের কাস্তে চলতে শুরু করল। শুরু হলো ধান কাটার প্রতিযোগিতা। হই হুল্লোড় করে কাঠা দু-এক জমির ধান চোখের পলকেই কাটা শেষ। তিনটি দলে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ১৫ জন নারী তিন সারি ধান কেটে সাবাড় করলেন। প্রথম হলো শাহানাপাড়ার ম
পীরগঞ্জের চতরা বিজ্ঞান ও কারিগরি কলেজে প্রতিবছরের মতো এবারও নবান্ন উৎসব উদ্যাপন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার দিনব্যাপী নানা আয়োজনে এ উৎসব উদ্যাপিত হয়।
ভালুকায় কৃষকের ঘরে ঘরে নবান্নের উৎসব জমে উঠেছে। সবুজ মাঠ সোনালি রঙের পাকা ধানে ভরপুর। মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার মহোৎসব। কৃষকের উঠোনে সোনা রাঙা ধানে শোভা পাচ্ছে। বাড়ির আঙিনায় নতুন ধান ঘরে তুলতে মহা ব্যস্ত দিন পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। এক দিকে ধান কাটা আর অন্য দিকে ধান মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত তাঁরা।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসব। খেতের ধান কাটা-মাড়াইের কাজ শেষের দিকে। চলছে অতিথি আপ্যায়ন। এর পাশাপাশি হাটবাজারেও পড়েছে পিঠা বিক্রির ধুম।
প্রকৃতিতে এখন বিরাজ করছে হেমন্ত। কার্তিক-অগ্রহায়ণ, এ দুই মাস একান্তই হেমন্তের। এ সময় বাংলার আকাশে, বাতাসে, বৃক্ষ চরাচরে ছড়িয়ে পড়ে হেমন্তের সুন্দর রূপবিভা। দিগন্তবিস্তৃত ফসলের মাঠে নির্মল হাওয়ার মৃদু তরঙ্গে নেচে ওঠে সোনালি ধানখেত। পাকা ধানের সোনালি রং দেখে কৃষকের তনু-মনে জেগে ওঠে...
প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসবের আমেজ।সোনালি ফসল ঘরে তুলে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।নতুন ধানের আটা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলি ও ক্ষীর তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামীণ নারীরা।সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
নবান্ন উৎসবের সঙ্গে আমাদের পরিচয় সেই আবহমানকাল ধরে। বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশ কি আর এমনিতেই বলা হয়? নবান্ন থেকে পয়লা বৈশাখ—বাংলার উৎসবের যেন শেষ নেই। গ্রামবাংলার সেই পুরোনো উৎসব দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে এখানে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার একটি গ্রাম—শালগ্রাম। অগ্রহায়ণের প্রথম দি
বাঙালির প্রাণের উৎসব নবান্ন উৎসব। 'নবান্ন' শব্দের অর্থ 'নতুন অন্ন'। নবান্ন উৎসব হলো নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব।
নবান্ন উৎসব মানে নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে পাওয়া চালের প্রথম রান্নার আয়োজিত উৎসব। এ উৎসবে মেয়ে-জামাই ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে নিয়ে এসে বাহারি পিঠা-পায়েসসহ নানা রকমের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাহারি পিঠার সমারোহে নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত এ আয়োজনে ৩০টি স্টলে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলি উপস্থাপন করা হয়।